মঙ্গলবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০১৮


নিমের বিভিন্ন অংশ কীভাবে উপকারী

পাতা

নিম পাতা যে উপকারী তা আমরা সবাই জানি। এটি প্রায় ৪ হাজার বছরের বেশী সময় ধরে উপমহাদেশের আয়ুবের্দ চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। নিমপাতার গুণে মুগ্ধ হয়ে পশ্চিমারাও আজকাল ঝুঁকে পড়ছে ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায়। আজকে জেনে নিন নিম-এর বহুবিধ কিছু ব্যবহার। নিম পাতার অসাধারণ সব গুণ রয়েছে পাতা, ফল, ছাল বা বাকল, নিমের তেল, বীজ এক কথায় নিমের সমস্ত অংশ ব্যবহার করা যায়। বিশ্বব্যাপী নিম গাছের পাতা, শিকড়, নিম ফল ও বাকল ওষুধের কাঁচামাল হিসেবে পরিচিত। বর্তমান বিশ্বে নিমের কদর কারন অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে ব্যহারের জন্য।
ছাল
নিমের ছালে ইমিউনোমড্যুলেটরি পলিস্যাকারাইড কমপাউন্ড আছে – সেসব হয়তো শরীরে অ্যা িন্টবডি তৈরি করতে সাহায্য করতে পারবে৷ অর্থাত্রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়বে৷
নিমতেল
লাল রঙের তেলটির চড়া গন্ধ৷ এতে ট্রাইগ্লিসারাইড, ট্রাইটারপিনয়েড যৌগ আছে৷ অ্যাজাডিরাকটিন (কীটনাশক) এমনই এক যৌগ৷ এছাড়াও এতে এসেনশিয়াল ফ্যাটি অ্যাসিড আছে৷ চামড়ার প্রদাহে নিমতেল কাজে লাগে৷ নিমতেল গর্ভনিরোধন হিসেবে ব্যবহৃত হয়৷
নিম চা
এক চতুর্থাংশ কাপ তাজা নিমপাতার উপর ফোটানো গরম জল ঢালুন৷ পাঁচ মিনিট ভেজান৷ ছাঁকুন৷ ধীরে ধীরে পান করুন৷ বলা হয় এতে জ্বর কমবে, রক্তে সুগার কমবে৷ ব্লাডারের সমস্যা বা রিউম্যাটিজম, জন্ডিস, বা পেটে কৃমি, ম্যালেরিয়া বা চামড়ার অসুখ – উপকার নাকি পাওয়া যাবে সবেতেই৷ নিমের কড়া চা ক্ষত বা চোট আঘাত সারাতেও লাগে৷
নিম দাঁতন
এর উপকারিতা অস্বীকার করবে ক’জন? নরম নিম ডারে দাঁতন গ্রামীণ বারতে এখনও চলে৷ শহরে ও মফস্‌সলেও৷ নিম মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে৷ অসুখ ও সংক্রমণ মুক্ত রাখে৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Popular Posts