ইসবগুলের উপকারিতা ও ব্যবহার
ইসবগুলের উপকারিতা ও ব্যবহার
১। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
ইসবগুলের দ্রবণীয় ফাইবারের পানি শোষণের প্রকৃতির জন্যই মল নরম হতে সাহায্য করে। ইসবগুলের ভুষির অদ্রবণীয় ফাইবার মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ২ চামচ ইসবগুল ১ গ্লাস কুসুম গরম দুধের সাথে মিশিয়ে পান করুন প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার আগে।
২। ডায়রিয়া সারায়
এটি বিশ্বাস করা কঠিন যে ইসবগুল একই সাথে পরিপাকের দুটি ভিন্ন ধরণের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে। ইসবগুলের দ্রবণীয় ফাইবার অন্ত্রের পানি শোষণ করে ফুলে উঠে এবং তরল মলকে আবদ্ধ করে শক্ত করে ফেলে। ২ চামচ ইসবগুল ৩ চামচ দইয়ের সাথে মিশিয়ে খাওয়ার পর খান দিনে দুইবার করে। দইয়ের প্রোবায়োটিক পাকস্থলীর ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে।
৩। ওজন কমায়
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাঁধা হচ্ছে ক্ষুধার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা। ইসবগুল পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে। অন্ত্র পরিস্কারেও সাহায্য করে ইসবগুল। ওজন হ্রাসের সময় চর্বি পোড়ানোর প্রক্রিয়ায় শরীরে অনেক বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন হয়। হঠাৎ করে কাঁচা খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করলে তা পাকস্থলীর জন্য বেশ ভারী হয়ে যায় তাই কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট ফাঁপার সমস্যা তৈরি করে। সুস্থতার জন্য এই বর্জ্য পদার্থগুলো শরীর থেকে বাহির হয়ে যাওয়া প্রয়োজন। ইসবগুল পাকস্থলী পরিষ্কার করতে সাহায্য করে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়ার মাধ্যমে। প্রতিদিন সকালে অথবা খাওয়ার পূর্বে কুসুম গরম পানিতে ইসবগুল ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করলে পেট ভরার অনুভূতি হয় এবং অন্য খাবার খাওয়ার ইচ্ছা কমায়।
৪। কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ইসবগুলের দ্রবণীয় ফাইবার রক্তের কোলেস্টেরল কমতে সাহায্য করে। এটি অন্ত্রে ফ্যাট ও অতিরিক্ত কোলেস্টেরলের সাথে জেল গঠন করে বর্জ্যের সাথে বের হয়ে যায়। অন্ত্রের দেয়াল যাতে ফ্যাট শোষণ করতে না পারে তাতে সাহায্য করে ইসুবগুল।
এছাড়াও ডায়াবেটিস, পাইলস ও ফিশারের রোগীদের জন্য উপকারী ইসবগুল। এসিডিটির সমস্যা সমাধানে এবং হজমক্রিয়ার উন্নতিতেও সাহায্য করে ইসবগুল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন